,

হোটেল ম্যানেজারের কাছে মহিলা শ্রমিক লাঞ্ছিত হওয়ার জের, বাহুবলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত ১৫

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে হোটেল মানেজারের কাছে মহিলা শ্রমিক লাঞ্ছিত হওয়ার জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মহিলাসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ডুবাঐ আখঞ্জি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডুবাঐ গ্রামের নোয়াব উল্লার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন (৩৫) শেওড়াতুলী গ্রামের মৃত হেলাল আখঞ্জির পুত্র শাওন আখঞ্জির মালিকাধীন আখঞ্জি হোটেল এন্ড রেস্টেুরেন্টে মহিলা শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হোটেলের ম্যানেজার সানি মিয়া সময় মতো হোটেলের প্লেইট পরিস্কার না করার অভিযোগ তুলে আম্বিয়া খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্ধ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সানি মিয়া উত্তেজিত হয়ে আম্বিয়া খাতুনকে চুলের মুঠোয় ধরে মাটিতে ফেলে বেধর মারধোর করে। এ অবস্থায় আম্বিয়া খাতুনের সু-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সুন্দর আলীসহ শেওড়াতুলী ও ডুবাঐ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। বিষয়টি মিমাংসার লক্ষ্যে যখন ওয়ার্ড মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা করছেন এ অবস্থায় শেওড়াতুলী গ্রামের কিছুসংখ্যক উশৃংখল যুবক ডুবাঐ গ্রামের লোকজনের উপর হামলা চালালে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় সংঘর্ষে ডুবাঐ গ্রামের ছোরাব উল্লার পুত্র মকবুল হোসেন (১৮) ও আবুল হোসেন (২৪), মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র সুহেল মিয়া (৩২), মৃত হিরা মিয়ার পুত্র লেবু মিয়া (৪০) কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুত্বর আহত আম্বিয়া খাতুন ও মকবুল হোসেনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সংঘর্ষের খরব পেয়ে বাহুবল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন তারা মিয়া ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।


     এই বিভাগের আরো খবর